সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের বদলা নিতে পাকিস্তানের দিক থেকে কি পরমাণু হামলার কোনও হুমকি ছিল? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল রাজনৈতিক মহলে। সোমবার যার উত্তর দিলেন বিদেশসচিব। সূত্রের খবর তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে সংঘাত বহুদিনের। কিন্তু সেই সংঘাত ছিল নিয়ন্ত্রিত। বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও প্রতিবেশী দেশের তরফে কোনও পরমাণু হামলার ইঙ্গিত ছিল না।
পিটিআই সূত্রে খবর, আজ সোমবার বিকাল ৪টে নাগাদ সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির একটি বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন শাসক ও বিরোধীদলের সাংসদরা। সেখানে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে নানা আলোচনা হয়। তখন পাকিস্তানের পরমাণু আস্ফালনের বিষয়টিও ওঠে। প্রশ্নের জবাবে বিক্রম মিসরি বলেন, “দু’দেশের সংঘাত থাকলেও তা নিয়ন্ত্রিত। প্রচলিত অস্ত্র প্রয়োগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। পাকিস্তানের তরফে পরমাণু হামলার কোনও হুঁশিয়ারি ছিল না। ১০ মে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি হয়।”
পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার বদলা নিয়ে ৬ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিতে আঘাত হানে অপারেশন সিঁদুর। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি। প্রাণ কেঁদে ওঠে ইসলামাবাদের। ৭ মের রাতে ভারতের সীমান্তবর্তী ১৫টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল পাক সেনা। যা রুখে দেয় রাশিয়ার এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘আকাশতীর’ মিসাইল সিস্টেম। এক রিপোর্ট অনুযায়ী আজই ভারতীয় সেনা ভিডিও প্রকাশ করে জানায়, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তান নাকি শাহিন সিরিজের ব্যালিস্টিক মিসাইল, চিনের এ-১০০, ফাতেহ ১,২-সহ অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। এই শাহিন মিসাইলের টার্গেট ছিল দিল্লির একটি জায়গা। যা ভারতের ‘লৌহবর্ম’ ভেদ করতে পারেনি। এই শাহিন পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র। ফলে এই মিসাইল নিয়ে গুঞ্জনের মাঝেই পরমাণু হুমকির তত্ত্ব নাকচ করলেন বিদেশসচিব।
আজ বিক্রম মিসরি এও বলেন যে, “পাকিস্তান কী হাতিয়ার দিয়ে হামলার চেষ্টা করেছিল সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা ওদের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ভয়ংকর আঘাত হেনেছি এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শক্তি গোটা বিশ্ব দেখেছে।” অপারেশন সিঁদুরের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে ভারতকে চোখ রাঙানো যাবে না। এরকম কিছু হলে ভারতীয় সেনা মোক্ষম জবাব দিতে প্রস্তুত। ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সমস্ত আঘাত প্রতিহত করে পালটা মার দেবে।