‘অপারেশন সিঁদুরের পরও সন্ত্রাসে মদত বন্ধ করেনি পাকিস্তান’, বিস্ফোরক সেনাপ্রধান

‘অপারেশন সিঁদুরের পরও সন্ত্রাসে মদত বন্ধ করেনি পাকিস্তান’, বিস্ফোরক সেনাপ্রধান

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পরও সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করেনি পাকিস্তান। সীমান্তে এখনও সমানতালে চলছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা। বিস্ফোরক দাবি সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদীর। একই সঙ্গে সেনাপ্রধান জানালেন, অপারেশন সিঁদুর ১০ মে শেষ হয়নি। ১০ মের পরও অনেক দিন সবার অলক্ষ্যে লড়াই চলেছে।

‘অপারেশন সিঁদুর: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ ইন্ডিয়াস ডিপ স্ট্রাইক ইনসাইড পাকিস্তান শুক্রবার এই শীর্ষক একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেন সেনাপ্রকাশ। সেখানেই উপেন্দ্র দ্বিবেদী অপারেশন সিঁদুর বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করলেন। তিনি বললেন, “হয়তো ভাবছেন যে ১০মে যুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু না, এটি দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে। বলা ভালো, অপারেশন সিঁদুর শেষ হওয়া বেশিদিন হয়নি। অনেক কিছু এখানে বলা সম্ভব নয়।”

সেনাপ্রধান বলছেন, নিয়ন্ত্রণরেখায় অপারেশন সিঁদুরের ঠিক কতটা প্রভাব পড়েছে, সেটা এখনও খতিয়ে দেখার সময় আসেনি। এখনই সিঁদুরের প্রভাব বা সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করাটা বেশ বড্ড তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে। পাকিস্তানের নাম না করেই উপেন্দ্র দ্বিবেদী মেনে নিয়েছেন, “অপারেশন সিঁদুরের পর রাষ্ট্রের মদতে সন্ত্রাস বন্ধ হয়েছে, তেমনটা নয়। কারণ এখনও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছেই। আর আমরা তো জানিই ক’জন জঙ্গি মারা পড়েছে, আর কজন ধরা পড়েছে।”

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি। তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় কাশ্মীরের স্থানীয় এক জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৭ মে ভোর-রাতে অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পিওকে-র নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অন্তত ১১টি একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি। জানা গিয়েছে, পর্যন্ত ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের মিনতিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি। তবে এরপরও সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করেনি পাকিস্তান।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *