‘অন্যের বিশ্বাসকেও সম্মান করুন’, মোটা শাঁখা-পলা মন্তব্যে মধুবনীকে খোঁচা নেটিজেনদের

‘অন্যের বিশ্বাসকেও সম্মান করুন’, মোটা শাঁখা-পলা মন্তব্যে মধুবনীকে খোঁচা নেটিজেনদের

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাঁখা-পলা-সিঁদুর দিয়ে মূলত বিবাহিত মহিলাদের চিহ্নিত করা হয়। তবে বর্তমান যুগে অনেকেই সেসব পরেন না। আবার কারও মনে হলে তিনি পরেন। তা নিয়ে ব্যক্তিগত মতামতই সর্বোচ্চ। কারও উপর কেউ নিয়ম চাপিয়ে দিতে পারেন না। অথচ অভিনেত্রী মধুবনী সম্প্রতি শাঁখা-পলা-সিঁদুর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছেন। আর তারপর থেকেই নেটদুনিয়ায় চরম কটাক্ষের শিকার অভিনেত্রী।

সোশাল মিডিয়ায় সম্প্রতি মোটা শাঁখা-পলা এবং সিঁদুর নিয়ে একটি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। লেখেন, “মোটা মোটা শাঁখা পলা পরার চল আমি নিয়ে এসেছি, বললেই চলে…২০১৬-য় যখন বিয়ে হয়, তখন মোটা শাঁখা পরেই বিয়ে করেছিলাম… তারপর দেখেছিলাম, অনেকেই মোটা শাঁখা পরছে… দেখে খুব ভালো লেগেছিলো… যে যাক, শাঁখা পলা পরাই যেখানে উঠে গিয়েছিলো, সেখানে “স্টাইল” করার জন্য হলেও, লোকে তো পরছে। এরপর, অনেক পরে, যখন মোটা শাঁখার সঙ্গে মোটা পলাও পরা শুরু করলাম, তখন লোকে সেটাও ফলো করলো… আমি সব রকম আউটফিটের সঙ্গেই শাঁখা পলা পরি, আমার এখনকার এই সোনালি চুলের সঙ্গেও পরছি! অনেকে আমায় জিজ্ঞেস করেন, আমি কেন শাঁখা পলা পরি? আমি পরি আমার স্বামীর মঙ্গল কামনায়, স্বামীর শারীরিক এবং মানসিক সুস্বাস্থের কামনায়… এটা আমার বিশ্বাস…সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকেই আমি পরি… আর একটা কথা… আমি মনে করি, শাঁখা পলা, সিঁদুর এগুলো এমন আভূষণ, যা চাইলেই পরা যায় না… এর জন্য, অবশ্যই প্রাথমিকভাবে বিয়ে হওয়াটা ম্যান্ডেটরি, এবং স্বামীর দেহে থাকাটাও অত্যাবশ্যক…যারা প্রফেশনের কারণে পরতে পারেন না, তাদেরটা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য…কিন্তু “এমনি পরি না”, বা “দেখতে গাঁইয়া লাগে” ভেবে যারা পরেন না, তাদের অন্তত এটুকু মাথায় রাখা উচিত, যে এমন অনেকে আছেন, যারা এগুলো পরার সুযোগই পান না… পুনশ্চ- আমি কাউকে আমার কথা মেনে চলতে বলছিনা… আমি তেমনটা এক্সপেক্ট ও করি না… আমি শুধু আমার পার্সপেক্টিভ টা সবার সাথে শেয়ার করলাম…”

অভিনেত্রীর এই পোস্টটি যেন দাবানলের মতো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই রে রে করে ওঠেন। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে আমরা নিজেদের ‘আধুনিক’ বলে তকমা দিই। অথচ সেই যুগে দাঁড়িয়ে এখনও শাঁখা, পলা, সিঁদুর পরার উপর কোনও মহিলার স্বামী ভালো থাকা কিংবা মন্দ থাকা সত্যি নির্ভর করে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, নিজের পছন্দ, অপছন্দের কথা বলছেন আপত্তি নেই। তেমনই আবার অন্যের পছন্দ, অপছন্দকেও সম্মান দিতে শিখুন। আবার কারও কারও দাবি, মধুবনী যা বলেছেন, তা নাকি ঠিকই আছে। তাঁদের মধ্যে আবার কেউ কেউ মধুবনীর মোটা মোটা শাঁখা, পলা এবং সঙ্গে মাথা ভর্তি সিঁদুর পরার স্টাইলের প্রশংসাও করেছেন। বলে রাখা ভালো, ‘ভালোবাসা ডট কম’ সিরিয়ালের সেটে রাজার সঙ্গে প্রথম আলাপ। আর তারপর মন দেওয়া নেওয়া। একসঙ্গে ঘর বেঁধেছেন তাঁরা। বর্তমানে কোল আলো করে এসেছে পুত্রসন্তান। তাঁকে সময় দেবেন বলে অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে মধুবনী। সম্প্রতি তা নিয়েও বেশ বিতর্কিত সোশাল মিডিয়া পোস্ট করেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *