সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিরাপত্তা আধিকারিকদের কাছে থাকা ওয়াকি-টকির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি দেদার বিকোচ্ছে ই-কমার্স সাইটগুলিতে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনার পর এই ঘটনায় এবার নড়েচড়ে বসল সরকার। কেন্দ্রীয় সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি বা সিসিপিএ-এর তরফে এবার এই সব সাইটগুলিকে পাঠানো হল নোটিস। প্রাথমিক তদন্তের পর ১২টি ই-কমার্স সাইটকে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রের নোটিসের জেরে আপত্তিকর পণ্যগুলি সরিয়ে নিয়েছে আমাজন, ফ্লিপকার্ট, মেশো, জিও মার্টের মতো সংস্থাগুলি।
সিসিপিএ-এর দাবি অনুযায়ী, ওয়াকি-টকি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। এগুলি ব্যবহার করতে গেলে সরকারি অনুমতিও নিতে হয়। সরকারি লাইসেন্সের পাশাপাশি কোন ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ ব্যবহার করা হবে তারও নির্দিষ্ট অনুমতি প্রয়োজন হয়। তবে সে বিষয়ে কোনও তথ্য না দিয়ে অনলাইনে বেআইনিভাবে বিক্রি করা হচ্ছিল এই যন্ত্র। যার জেরেই ২০১৯ সালে কনজিউইমার প্রোটেকশন অ্যাক্টের অধীনে কেন্দ্রের তরফে নোটিস জারি করে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ই-কমার্স প্ল্যার্টফর্মে কিছু বিক্রি করতে হলে সেই পণ্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য স্পষ্টভাবে অনলাইনে উল্লেখ করতে হবে। শুধু তাই নয়, অনুমতি ও লাইসেন্স ছাড়া ওয়াকি-টকি ব্যবহার বা নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি বা রেঞ্জের রেডিয়ো অপারেটিং করা হয়, সেক্ষেত্রে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।
জানা যাচ্ছে, মোট ১৬,৯৭০টি এমন আপত্তিকর পণ্যের হদিশ পেয়েছে কেন্দ্র। যেখানে ফ্রিকোয়েন্সি তথ্য, লাইসেন্সের বিবরণ বা সরকারি অনুমতি ছাড়াই ওয়াকি-টকি বিক্রি করছিল সংস্থাগুলি। যেখানে মিশোতে ৪৫০ টিরও বেশি এবং ফ্লিপকার্টে ৩০০ টিরও বেশি এমন আপত্তিকর পণ্য পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো নোটিসে ওয়াকি-টকি বিক্রেতাদের তথ্য, প্রোডাক্ট ইউআরএল এবং লিস্টিং আইডি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত কতগুলি সেট বিক্রি হয়েছে সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের নোটিসের পর আপত্তিকর ওইসব পণ্য নিজেরদের সাইট থেকে সরিয়ে দিয়েছে সংস্থাগুলি।