মোহনবাগান: ৫ (অনিরুধ, ম্যাকলারেন, লিস্টন, সাহাল, কামিংস)
ডায়মন্ড হারবার: ১ (লুকা মাজেন)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুবভারতীতে ‘ফাইভ স্টার’ পারফরম্যান্স মোহনবাগানের। অনেকেই বলেছিলেন, মরশুমের প্রথম কঠিন ম্যাচে নামতে চলেছে মোহনবাগান। হয়তো কেউই ভাবতে পারেননি, সেই কঠিন ‘হ্যাডল’ এতটা সহজেই পার করবেন হোসে মোলিনার ছেলেরা। প্রথম দিকে তুল্যমূল্য লড়াই চালালেও ক্রমশ ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেল ডায়মন্ড হারবার। যার ফলে হাসতে হাসতে ৫-১ গোলে কিবু ভিকুনার দলকে উড়িয়ে ডুরান্ড কাপের পরের রাউন্ডে পৌঁছে গেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
১৪ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। সুবর্ণ সুযোগ হারান ম্যাকলারেন। সাহাল আবদুল সামাদের কাছ থেকে দারুণ বল পেয়েও বিপক্ষ গোলকিপারের হাতে মেরে বসেন অজি তারকা। এর পরের মিনিটেই কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে আসে ডায়মন্ড হারবার। ১৮ মিনিটে অনিরুধ থাপা এগিয়ে দেন মোহনবাগানকে। সাহালের ছোট্ট টোকায় বল চলে যায় থাপার পায়ে। বক্সের মধ্যে থেকেই বাঁক খাওয়ানো শটে দর্শনীয় গোল করেন তিনি। তবে মোহনবাগানের এই আন্দন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ২৪ মিনিটে লুকা মাজেন সমতায় ফেরান ডায়মন্ড হারবারকে।
গোলের পর উজ্জীবিত ফুটবল খেলতে থাকে ডায়মন্ড হারবার। ২৭ মিনিটে ফের আক্রমণে উঠে আসে তারা। তবে, ৩৫ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে স্কোর লাইন ২-১ করেন ম্যাকলারেন। ৪৬ মিনিটে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিতে পারতেন অলড্রেড। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেনাল্টি থেকে গোল পান লিস্টন কোলাসো। বক্সের ভিতরে কোলাসোকে ফাউল করেন ডায়মন্ড হারবার ডিফেন্ডার নরেশ সিং। পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। কিন্তু অযথা ঝামেলায় জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন নরেশ। ৬৪ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে নামা জেসন কামিংসের অনবদ্য স্কিল দেখা গেল। তিনিই পাস বাড়ান সাহালকে। বল ডায়মন্ডের জালে জড়িয়ে দিতে কোনও ভুল করেননি সাহাল। ১০ জন হয়ে যাওয়া ডায়মন্ড হারবারকে নিয়ে এরপর কার্যত ছেলেখেলা করে মোহনবাগান। ৮০ মিনিটে কামিংসের গোলে ৫-১ গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। আর কোনও গোল হয়নি। এদিন একঝাঁক ফুটবলার চোট আর কার্ড সমস্যায় মোহনবাগান দলে ছিলেন না। তাঁদের ছাড়াই এত বড় ব্যবধানে জয় মোহনবাগানকে কোয়ার্টার ফাইনালে আত্মবিশ্বাস জোগাবে।