অধ্যাপকের যৌন হেনস্তায় গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ছাত্রীর, ওড়িশা কাণ্ডে গ্রেপ্তার কলেজের অধ্যক্ষ

অধ্যাপকের যৌন হেনস্তায় গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ছাত্রীর, ওড়িশা কাণ্ডে গ্রেপ্তার কলেজের অধ্যক্ষ

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশায় অধ্যাপকের যৌন হেনস্তার বিচার চেয়ে ভরা ক্যাম্পাসে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ছাত্রীর। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা দেশ। এবার ওই কলেজের অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, যৌন হেনস্তার শিকার হওয়ার পরই নির্যাতিতা গোটা ঘটনার বিবরণ জানিয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। অভিযোগ, দশ দিন কেটে গেলেও কলেজ কতৃপক্ষের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগেই অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর।

দিনকয়েক আগে কলেজের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। তবে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী তদন্তের কথা বলা হলেও কোনওরকম তৎপরতা দেখায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিকেলে নির্যাতিতা কলেজের অপর এক অধ্যাপকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে যান। দ্রুত বিচারের দাবিও জানান তিনি। অভিযোগ, তারপরই তিনি কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতর নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন। এমনকী তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসেন তাঁর এক সহপাঠীও। কিন্তু ব্যর্থ হয় সেই প্রচেষ্টা। গোটা ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাস চত্বরে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দেহের ৯৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তরুণীর অবস্থা সংকটজনক।

এই ঘটনাটিতে রবিবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কড়া সুরে আক্রমণ শানায় তৃণমূল। বাংলার শাসকদলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ‘ভিন্ন দিন, ভিন্ন শিকার। বিজেপি সরকারের তত্ত্বাবধানে সর্বত্র একই পচন ছড়িয়ে পড়েছে। ওড়িশার বালাসোরে এক ছাত্রীকে তাঁর বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কুপ্রস্তাব দেয়, তাঁর প্রস্তাব না মানলে ছাত্রীর ভবিষ্যৎ নষ্ট করার হুমকি দেয়। এর জেরে গায়ে পেট্রোল ঢেলে নিজেকে শেষ করে দিতে বাধ্য হন ওই যাত্রী। তাঁর শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। ছাত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর সহপাঠীর শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়েছে।’ তৃণমূলের তরফে আরও লেখা হয়েছে, ‘গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝির নীরবতা অত্যন্ত লজ্জাজনক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি শব্দও খরচ করেননি। এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে যে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *