অধস্তনদের ‘মেধা’ নিয়ে কুমন্তব্য! যোগ দেওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই চাকরি খোয়ালেন আধিকারিক

অধস্তনদের ‘মেধা’ নিয়ে কুমন্তব্য! যোগ দেওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই চাকরি খোয়ালেন আধিকারিক

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্পোরেট হোক আর সরকারি অফিস, সর্বত্রই একটা ন্যূনতম নিয়মশৃঙ্খলা আছে। তা ভাঙলে কোথাও কঠিন শাস্তি হয়, আবার কোথাও নরমে-গরমে বোঝানো হয় সেই কর্মীকে। কেউ কেউ আবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে বাকিদের উদ্দেশে জরুরি বার্তা দেয়। গোয়ার এক স্টার্টআপ সংস্থা সে পথেই হাঁটল। অধস্তনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, মেধা নিয়ে কুমন্তব্য করার অভিযোগে নিয়োগের ৫ দিনের মধ্যেই চাকরি খোয়াতে হল অফিসের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসারকে। সেই খবর লিংকডিনে নিজেই শেয়ার করেছেন স্টার্টআপ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা যতীন সাইনি। আর তাঁর ওই সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ করছেন বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা।

ঘটনা ঠিক কী? জানা যাচ্ছে, গোয়ায় ‘হাউস অফ ক্রিয়েটর’ নামে এক স্টার্টআপ শুরু করেছেন যতীন সাইনি। গত সোমবারই এক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসারকে তিনি নিয়োগ করেছিলেন অফিসে। তিনি কাজ শুরুর পরই আচার-আচরণের জন্য চক্ষুশূল হয়ে পড়েন। ব্যাপারটা বোঝার জন্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা যতীন নিজে নজরদারি শুরু করেন। রোজকার কাজের রুটিন নিয়ে অধস্তনদের সঙ্গে বৈঠক করাকালীন ব্যাপারটা বেশ স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। জুনিয়রদের ভর্ৎসনা করে ওই সিনিয়র আধিকারিককে বলতে শোনা যায়, ”মগজটা কি বাড়িতে রেখে কাজ করতে এসেছেন? তাহলে অন্য কোনও কাজ খুঁজে নিন। কাল থেকে মগজ নিয়ে আসবে, নাহলে অফিসে আসার দরকার নেই।”

এসব কথা শুনতে পান যতীন। সেসময় বৈঠকের মাঝে ঘরে ঢুকে কর্মীদের পাঠিয়ে নিজে আলাদা করে কথা বলেন ওই সিনিয়রের সঙ্গে। বুঝে নেন, তাঁকে আর সংস্থার চাকরিতে রাখা যাবে না। তাতে বারবার অন্যান্য কর্মীদের অপমানিত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। ফলে এক সোমবার ওই সিনিয়র এক্সিকিউটিভকে কাজে যোগদান করানোর ৫ দিন পর, শুক্রবারই তাঁকে ছাঁটাই করে দেন। তা লিংকডিনে নিজেই শেয়ার করেছেন যতীন সাইনি। লেখেন, ”একজনকে সোমবার চাকরিতে নিয়োগ করে শুক্রবারই বের করে দিয়েছি। মোটেই গর্বের বিষয় নয়। তাঁর সঙ্গে আমার কথোপকথনও মোটেই সহজ ছিল না। আমি ভেবেছিলাম, উনি নিজের ভুল বুঝতে পারবেন। সময়ও দিয়েছিলাম। কিন্তু যেভাবে আমি টিম গড়তে চাই, ওই সিনিয়র এমনটা নন। এটা আমারই ভুল ছিল ওঁকে নিয়োগ করা।”

যতীনের আরও বক্তব্য, ”আসলে এ ধরনের ব্যবহার কর্মীদের কাজের আনন্দ একেবারে মুছে দেয়। আমি চাই না, কেউ কাজের পর দিনশেষে অপমানিত হয়ে বাড়ি ফিরুন।” তাঁর এই পদক্ষেপে সকলের মত, যা হয়েছে একদম ঠিক হয়েছে। এমন কঠিন সিদ্ধান্ত তো কর্মীদের জন্যই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *