সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অটো আছে। ড্রাইভারও হাজির। তবে গাড়িটি যাত্রী নিয়ে শহর ঘোরে না। তারপরও চালক মাসে আয় করছেন ৫-৮ থেকে আট লাখ! অবাক হচ্ছেন? কিন্তু মুম্বইয়ের ড্রাইভার সত্যি লাখ টাকা আয় করছেন! যা এখন সংবাদের শিরনামে। কিন্তু কীভাবে?
লেন্সকার্টের পোডাক্ট লিডার রাহুল রূপানি সম্প্রতি ভিসার জন্য গিয়েছিলেন ইউএস কনস্যুলেটে। সেখানেই তিনি এক অটো চালককে দেখেন। যিনি ৫-৮ লাখ টাকা আয় করছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু কীভাবে? সামাজিক মাধ্যমে রূপানি লিখেছেন, ‘ওই অটো চালক প্রতিদিন অটো নিয়ে হাজির হন মার্কিন দূতাবাসের সামনে সেখানে আসা নাগরিকদের ব্যাগ রেখে বিপুল অর্থ আয় করছেন।’ একথা রাহুল জানলেন কী করে? কীসের ভিত্তিতে এই দাবি করছেন?
রূপানি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘সম্প্রতি মার্কিন ভিসার জন্য কনস্যুলেটে গিয়েছিলাম। আমার কাছে একটি ব্যাগ ছিল। সেটি নিয়ে প্রবেশ করতেই আমাকে বলা হল ব্যাগ নিয়ে ভিতরে যাওয়া যাবে না। সেখানে কোনও লকরা নেই। অগত্যা বাইরে বেরিয়ে ভাবছিলাম কী করব? সেই সময় ওই অটোচালক এসে প্রস্তাব দেন ব্যাগটি তিনি সুরক্ষিত রাখবেন। তার পরিবর্তে হাজার টাকা নেবে। প্রথমে দিতে চাইনি। কিন্তু পরে সেখানেই রাখি। তারপরই অটো চালকের তীক্ষ্ণ ব্যবসায়িক বুদ্ধির পরিচয় পাই।’ রূপানি অটো চালকের আয়ের হিসাব দিয়ে লেখেন, ‘সাধারণ দিনে ২০ থেকে ৩০ জন ব্যক্তি দূতাবাসে আসেন। তাঁদের প্রত্যেকের থেকে ১ হাজার টাকা করে নেন ওই চালক। সেই হিসাবে, দিনে প্রায় ৩০ হাজার টাকা আয় করেন ওই ব্যক্তি।’
কিন্তু এতগুলি ব্যাগ এক সঙ্গে রাখা বেআইনি। সেই ক্ষেত্রে অটো চালক এক পুলিশ বন্ধুর সাহায্য নিয়েছেন। যাঁর কাছে লকার রয়েছে। সেখানে কিছু ব্যাগ রাখা হয়। তাঁরা যৌথভাবে ব্যবসা চালাচ্ছেন। রূপানি লিখছেন, ‘কোনও এমবিএ করা নেই, কোনও পরিকল্পনা নেই। বিনিয়োগও সেই ভাবেই নেই। তাতেই এই ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন ওই ব্যক্তি।’