‘হামাসের নিরস্ত্রীকরণ হবেই, নরমে বা গরমে…’, শান্তি প্রস্তাবের আবহেই হুঙ্কার নেতানিয়াহু

‘হামাসের নিরস্ত্রীকরণ হবেই, নরমে বা গরমে…’, শান্তি প্রস্তাবের আবহেই হুঙ্কার নেতানিয়াহু

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিগগিরি হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইজরায়েলি পণবন্দিদের মুক্ত করা হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আয়োজনে শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার আগেই শনিবার এমনটা দাবি করলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই সঙ্গেই তিনি পরিষ্কার করে দিলেন, গাজা থেকে এখনই ইজরায়েলি সেনাকে সরানো হবে না। পাশাপাশি হামাসের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী, তাদের হাত থেকে অস্ত্র সরিয়ে নেওয়া হবেই। হয় কূটনৈতিক ভাবে, নয়তো সেনার পথেই।

টেলিভিশনে এক বার্তা দেওয়ার সময় নেতানিয়াহুকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”হামাসের নিরস্ত্রীকরণ হবেই। এবং গাজা থেকেও সেনা সরবে। সোজা পথে হোক বা কঠিন পথে, এটাই হবে।” প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে গাজার যুদ্ধ থামানো নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তারপরেই হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে ২০ দফা পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়। অবিলম্বে সংঘর্ষবিরতি থেকে শুরু করে গাজায় নতুন সরকার গঠন-একাধিক প্রস্তাব পেশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজাকে পুরোপুরি সন্ত্রাসবাদীদের কবল থেকে মুক্ত করে একেবারে নতুনভাবে গড়ে তোলা হবে। যদি ইজরায়েল এবং হামাস দু’পক্ষই এই প্রস্তাব মেনে নেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত এবং মৃত পণবন্দিদের ফেরাতে হবে। ইজরায়েলও সমস্ত বন্দিদের মুক্তি দেবে। তারপরই গাজার জন্য বিপুল ত্রাণ পাঠানো হবে, রাষ্ট্রসংঘ এবং রেড ক্রসের তত্ত্বাবধানে। ট্রাম্পের এই প্রস্তাবে ইজরায়েলের পাশাপাশি রাজি হয় হামাসও।

কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই শনিবার ফের গাজায় মারণ হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ইজরায়েলের এই হামলার পর প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কি শান্তি ফিরবে গাজায়? জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে গাজা শহর এবং গাজার দক্ষিণাংশের খান ইউনিস এলাকায় গোলাবর্ষণ করে ইহুদি সেনা। এর মধ্যে গাজা শহরে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। অন্যদিকে, খান ইউনিস এলাকায় মৃত্যু হয় ২ জন সাধারণ নাগরিকের। আর তারপরই ফের হামাসের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিতে দেখা গেল নেতানিয়াহুকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *