শাশুড়িকে দিয়ে সব লিখিয়ে নিয়েছেন সঞ্জয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী! ৪০ হাজার কোটির সম্পত্তি নিয়ে বিতর্ক বহাল

শাশুড়িকে দিয়ে সব লিখিয়ে নিয়েছেন সঞ্জয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী! ৪০ হাজার কোটির সম্পত্তি নিয়ে বিতর্ক বহাল

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরের জুন মাসে প্রয়াত হন করিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুর। লন্ডনে গল্ফ খেলার মাঝে আচমকাই এক মৌমাছি ঢুকে যায় সঞ্জয়ের গলায়। আর সেটা বার করতে না পেরেই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এতটাই বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন যে, তৎক্ষণাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সোনা কমস্টারের কর্ণধার। সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে জলঘোলা চলছেই। এবার এই নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন সঞ্জয়ের বোন মন্দিরা কাপুর।

সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর বেশ কিছু কাগজপত্রে আমার মাকে দিয়ে সইসাবুত করিয়ে নেওয়া হয়েছে।” এই কাজে প্রিয়া সচদেবের নাম তুলে ধরেন মন্দিরা। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রিয়া সচদেবের সঙ্গে ওই কাজে শরিক ছিলেন আরও কিছু ব্যক্তি। এবং সেই ঘটনা ঘটেছিল সঞ্জয়ের প্রয়াণের ১৩ দিনের মধ্যে। আমার মাকে দিয়ে যখন বিভিন্ন কাগজে সই করানো হচ্ছিল তখন আমার মা সন্তানশোকে মুহ্যমান ছিলেন। তাঁর মানসিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত কঠিন। মা সেই কাগজগুলিতে সই করার পর ঘরের বাইরে এসে আমাকে বলেন যে তিনি কী কাগজে কেন সই করলেন তা তিনি জানেন না। এ বিষয়ে প্রিয়াকে জিজ্ঞেস করা হলেও সে আমাদের এই নিয়ে কোনও সন্তোষজনক উত্তর দেয়নি।”

সঞ্জয়ের প্রয়াণের পর তাঁর মা রানি কাপুর দাবি করেছিলেন, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি তাঁর ছেলের। খুন করা হয়েছে সঞ্জয়কে। এমন দাবির পর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল ওয়াকিবহাল মহলে। সঞ্জয়ের স্থাবর অস্থাবর সব মিলিয়ে ৪০,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। খ্যাতনামা শিল্পপতি সঞ্জয়ের সঙ্গে ২০০৩ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন করিশ্মা কাপুর। তবে সেই দাম্পত্য সুখকর হয়নি! তাই একদশক সংসার করার পর ২০১৬ সালে করিশ্মা কাপুরের সঙ্গে ডিভোর্স হয়। তবে বিচ্ছেদ হলেও দুই সন্তানকে বাবার থেকে আলাদা করেননি কাপুরকন্যা। ছুটি পেলেই সামাইরা এবং কিয়ানকে তাঁদের বাবার সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। সৎ মা প্রিয়া সচদেবও সামাইরার জন্মদিনে প্রতিবার নিয়ম করে আদুরে ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *