লেটারহেডে মোদির ছবি, নিজেকে RSS সদস্য বলে দাবি ধর্মান্তকরণের মাথা ছাঙ্গুর বাবার

লেটারহেডে মোদির ছবি, নিজেকে RSS সদস্য বলে দাবি ধর্মান্তকরণের মাথা ছাঙ্গুর বাবার

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)-এর সদস্য বলে দাবি করতেন ধর্মান্তকরণ চক্রের মাথা ছাঙ্গুর মাথা। শুধু তাই নয়, নিজের লেটারহেডে ব্যবহার করতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি। উত্তরপ্রদেশে ধর্মান্তকরণ চক্রের তদন্তে নেমে এমনই তথ্য হাতে পেলেন তদন্তকারীরা। নিজেকে প্রভাবশালী হিসেবে দেখাতেই ওই ধর্মীয় নেতা নিজেকে আরএসএস ও বিজেপির সক্রিয় সদস্য বলে দাবি করতেন।

তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, ছাঙ্গুর বাবা নিজেকে ‘ভারত প্রতিকার্থ সেনা সংঘ’ নামক সংস্থার অবধ অঞ্চলের মহাসচিব বলে দাবি করতেন। এই সংস্থা পরিচালনা করতেন ইদুল ইসলাম নামে আর এক অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, যেহেতু আরএসএস-এর সদর দপ্তর নাগপুরে, তাই ইসলাম নাগপুরে একটি ভুয়ো কেন্দ্র খুলে সংগঠনটিকে বৈধ দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, এই ছাঙ্গুর বাবা ও ইসলাম দুজনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি দেওয়া লেটারহেড ব্যবহার করতেন। সেখানে থাকত আরএসএসের আরও দুই শীর্ষ নেতার নাম। যাতে এই ধর্মান্তকরণ চক্রে কোনও বাধা এলে নিজেদের প্রভাবশালী হিসেবে দেখানো যায়।

উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশজুড়ে বিরাট ধর্মান্তকরণের র‍্যাকেট তৈরি করেছিল এই ছাঙ্গুরবাবা। এরই সঙ্গে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গেও মজবুত গাঁটছড়া তৈরির চেষ্টা করেছিল ছাঙ্গুর। জায়গায় জায়গায় তৈরি করা হয়েছিল সেল। যেখানে নিযুক্ত করা হয় মুসলিম যুবকদের। ওই যুবকরা রীতিমতো মাসে মাসে তার কাছ থেকে টাকা পেত। তাদের কাজ ছিল একটাই, হিন্দু বিধবা কিংবা দরিদ্র মহিলাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের ধর্মান্তরিত করা। ছাঙ্গুরের অর্থের উৎস ছিল মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলি। তদন্তকারীদের দাবি, এই দেশগুলি থেকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার অর্থসাহায্য পেয়েছিল সে। আর এই টাকার মধ্যেও ৩০০ কোটি টাকা এসেছিল নেপালের পথ দিয়ে। এ ভাবেই ফুলেফেঁপে উঠেছিল তার ধর্মান্তরকরণের ব্যবসা।

বিদেশ থেকে আসা ওই তহবিল সামলাত তার ডানহাত নীতি ওরফে নাসরিন। তাকেও গ্রেপ্তার করেছে এটিএস। এই বিদেশি অর্থের উৎস এবং এই ধর্মান্তরকরণ গ্যাংয়ের আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খুঁজে বের করতে ছাঙ্গুর বাবা এবং নাসরিনকে জেরা করছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং এনআইএ। আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছাঙ্গুর বাবার ছেলে মেহবুব এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী জামালউদ্দিন নবীনকেও। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানতে পেরেছে, ছেলের অ্যাকাউন্ট থেকেই আর্থিক লেনদেন করত ছাঙ্গুর। তার নিজেরও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। শারজা, দুবাই-সহ বিদেশের বিভিন্ন জায়গাতেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে ছাঙ্গুরের। সেগুলিও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *