সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যই চিনে চালু হয়ে গিয়েছে ‘কে ভিসা’। বিশেষত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রের প্রতিভাবানদের আমেরিকা নয়, বেজিংয়েই স্বাগত জানাতে চাইছে জিনপিং সরকার। এহেন পদক্ষেপকে সুকৌশলী কূটনৈতিক পদক্ষেপ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প H-1B ভিসার দাম বাড়িয়ে ১ লক্ষ ডলার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে। কিন্তু চিনে ইতিমধ্যেই একটা আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে। এই পদক্ষেপে আদৌ চিনা নাগরিকদের চাকরির সম্ভাবনা আরও সংকুচিত হবে কিনা সেই নিয়ে সেখানকার সোশাল মিডিয়ায় অনেকেই সংশয় প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান বলছে, বছরে অনুমোদনপ্রাপ্ত ৮৫ হাজার এইচওয়ানবি ভিসার ৭০ শতাংশই ভারতীয়দের। বিদেশে গিয়ে যাঁরা নিজেদের কেরিয়ার গড়তে চান, তাঁদের সিংহভাগের লক্ষ্যই থাকে ওই ভিসার। কিন্তু ট্রাম্পের ভিসাবোমায় সেই স্বপ্নই যেন ধাক্কা খেয়েছে। আর তারই সুবিধা তুলতে চাইছে চিন। তবে এখনও পরিষ্কার নয়, চিনের এই ভিসা আদৌ সেখানে আগত বিদেশিদের কাজ করার অনুমতি দেবে কিনা। এমনও কেউ কেউ বলছেন, এতে বেজিং যাওয়া অনেক সহজ হলেও চাকরির ক্ষেত্রে এর ফলে কোনও সদর্থক পরিবেশ তৈরি করা হবে, তা নাও হতে পারে। মাত্র দিন তিনেক আগে চালু হওয়া এই ভিসার জোর কতটা তা পরিষ্কার বুঝতে এখনও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কিন্তু এতটা অপেক্ষা করতে রাজি নয় চিনের যুব সম্প্রদায়। তারা মনে করছে, এতে তাদের চাকরির ক্ষেত্রই সংকুচিত হবে। সোশাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন, ‘আমাদের এখানে স্নাতকের সংখ্যা অগুনতি। বলার অপেক্ষা রাখে না স্নাতকোত্তর কিংবা গবেষক ডিগ্রিও কম নেই। দেশীয় প্রতিভার বিরাট ব্যাঙ্ক এখানে রয়েছে। অথচ আমরা কিনা বিদেশি স্নাতকদের এখানে ডেকে আনছি?’ আরেকজনের দাবি, ‘নতুন নতুন নানা প্রকল্পের ধাক্কায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে শুরু করেছে। কিন্তু বিদেশি পাসপোর্টের জোর সবচেয়ে বেশি।’ এমনই নানা মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, মোটেই এই কে ভিসা নিয়ে উৎসাহিত নন চিনের সাধারণ জনতা। বরং একে তাঁরা ‘বিপদ’ বলে মনে করছেন।