নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তা, বিহারে নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধন, অপারেশন সিঁদুর-নানা বিষয় নিয়ে বারবার সংসদে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। বাদল অধিবেশনে বিরোধীরা আলোচনার দাবি জানালেও তা কানেই তোলেনি ট্রেজারি বেঞ্চ। ফলে আরও তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছেন বিরোধীরা। তার জেরে চলতি সপ্তাহে বারবার ব্যাহত হয়েছে সংসদের কাজ। তবে আগামী সপ্তাহে এমনটা হবে না বলেই জানা গিয়েছে।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। সেদিন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত টানা পাঁচদিনের অধিকাংশ সময়েই মুলতুবি থেকেছে লোকসভা। কিছুটা সময়ে রাজ্যসভায় আলোচনা হলেও তা না হওয়ারই সমান। শুক্রবারও লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায় দুপুর দু’টো পর্যন্ত। এদিন অধিবেশন শুরুর আগে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন বলেন, “সংসদে আমরা বারবার বাঙালি হেনস্তা নিয়ে সরব হয়েছিল। সংসদের বাইরেও নানা জায়গায় আমরা তুলে ধরেছি, বাংলাভাষী ভারতীয়দের কীভাবে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু এই নিয়ে ট্রেজারি বেঞ্চ আলোচনা করতে চায় না বলেই বারবার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হচ্ছে।”
চলতি সপ্তাহের পুরোটাই হইহট্টগোলের জেরে ব্যাহত হয়েছে সংসদের অধিবেশন। সূত্রের খবর, তার পরেই সর্বদল বৈঠক করেন লোকসভা স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে মতপার্থক্য থাকবেই। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে তা মেটানো উচিত, স্লোগান দিয়ে নয়। সেই বৈঠকেই বিহার SIR নিয়ে আলোচনায় খানিকটা সহমত হয়েছেন সরকার এবং বিরোধী পক্ষের সাংসদরা। ফলে আগামী সপ্তাহে হয়তো খানিকটা আলোচনা হতে পারে বাদল অধিবেশনে।
উল্লেখ্য, শোনা গিয়েছিল অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণের জবাব দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী সপ্তাহেই লোকসভা এবং রাজ্যসভায় যথাক্রমে ১৬ ঘণ্টা এবং ৯ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হয়েছে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার জন্য। সেই আলোচনার শেষেই ভাষণ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।