সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেনজির! এবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। প্রশ্নটি তুললেন সুপ্রিম কোর্টেরই হবু প্রধান বিচারপতি তথা কলেজিয়ামের সদস্য বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন। সূত্রের খবর ওই বিচারপতির দাবি, শীর্ষ আদালতের কলেজিয়াম নতুন যে দুই বিচারপতির নাম সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির আসনে বসার জন্য সুপারিশ করেছে, সেই সুপারিশ মানা হলে তাতে ‘আঞ্চলিক সাম্য’ বিঘ্নিত হবে। শুধু তাই নয়, গুজরাটের এক বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টে আনার জন্য বহু সিনিয়র বিচারপতিকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।
সোমবার কলেজিয়াম দুই বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির আসনে বসানোর জন্য সুপারিশ করছে। একজন, পাটনা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিপুল এম পাঞ্চোলি অপরজন বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি অলোক আরাধে। বলে রাখা দরকার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কেন্দ্র নিয়োগ করে না। তাঁদের নিয়োগ করার জন্য সুপারিশ করে সুপ্রিম কোর্টেরই পাঁচ সদস্যের কলেজিয়াম। সেই সুপারিশে কেন্দ্র শুধু সিলমোহর দেয়। সমস্যা হল, কলেজিয়াম এবার যে দুই বিচারপতির নাম সুপারিশ করেছে তাঁদের মধ্যে গুজরাটের বাসিন্দা বিচারপতি বিপুল পাঞ্চোলিকে নিয়ে আপত্তি তোলেন কলেজিয়ামেরই সদস্য বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন। তিনি ওই বিচারপতির নামে একাধিক ‘ডিসেন্ট নোট’ জমা দিয়েছেন। যদিও বাকি চার বিচারপতির ভোটে সেই ‘ডিসেন্ট নোট’ খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু বিচারপতি নাগরত্ন যে অভিযোগগুলি তুলেছেন, সেগুলি রীতিমতো চাঞ্চল্যকর।
তাঁর আপত্তির জায়গা দুটি। এক, সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই দুজন গুজরাটি বিচারপতি আছেন। আরও একজনকে নিয়োগ করলে আঞ্চলিক সাম্য বিঘ্নিত হবে। বিচারপতি নাগরত্নের দাবি, এতে কলেজিয়ামের স্বচ্ছ্বতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে। দুই, বিচারপতি বিপুল পাঞ্চোলি হাই কোটের বিচারপতিদের মধ্যে সিনিয়রিটির নিরিখে ৫৭ নম্বরে পড়েন। তার আগের ৫৬ জনের কথা ভাবা হল না কেন? এই বিচারপতি বিপুল পাঞ্চোলির পাটনা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে প্রমোশন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। চমকপ্রদ বিষয় হল, কেন্দ্র সুপারিশ মেনে নিলে সুপ্রিম কোর্টে ‘প্রমোশন’ পাওয়ার দু’বছরের মধ্যে প্রধান বিচারপতি হয়ে যাবেন বিচারপতি পাঞ্চোলি। এবং থাকবেন দেড় বছর। সেটাও বেনজির।
বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন। তিনি কলেজিয়ামের মধ্যে থেকে যে প্রশ্ন তুলেছেন, সেগুলি রীতিমতো চাঞ্চল্যকর। নিজের ‘ডিসেন্ট নোটে’ এই বিচারপতির দ্রুতগতির ‘উত্তরণ’ নিয়ে যে প্রশ্নগুলি বিচারপতি তুলে দিয়েছেন, সেটি রীতিমতো চাঞ্চল্যকর।