সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের পর এমনিতেই থমথমে কাশ্মীরের পরিস্থিতি। এখনও অধরা জঙ্গিরা। সময় যত পেরোচ্ছে, দেশ ততই ফুঁসছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায়। সেনা সূত্রে খবর, রবিবার সুরানকোটের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আইইডি বিস্ফোরক (ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস)। এরপরই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা।
জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে সোনা এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মোট পাঁচটি শক্তিশালী বিস্ফোরক উদ্ধার করে। বিস্ফোরকগুলি তিনটি টিফিন বাক্স এবং দু’টি স্টিলের বালতির ভিতরে লুকনো ছিল। পাশপাশি, সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক কমিউনিকেশন ডিভাইসও। কিন্তু কীভাবে সেগুলি ওখানে এল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গোপন ডেরা বানিয়ে সেখানে আস্তানা গেড়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। তার একাধিক প্রমাণও নাকি মিলেছে।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর জঙ্গিদের খোঁজে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযানে নেমেছে সেনা এবং পুলিশ। তারমধ্যে অন্যতম পুঞ্চ। বলাবাহুল্য, এই বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় উপত্যকাজুড়ে নতুন করে আতঙ্কের স্রোত বইতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, কাশ্মীরের বুকে আবার কি তাহলে কোনও নাশকতার ছক করেছিল জঙ্গিরা? পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “গোপন সূত্রে আমাদের কাছে খবর এসেছিল পুঞ্চের সুরানকোট জঙ্গলে কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে আছে। সেই মতো সেনার সঙ্গে আমরা যৌথ অভিযান চালাই। তারপরই বিস্ফোরকগুলি উদ্ধার হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, পুলওয়ামার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে গত ২২ এপ্রিল। পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। রীতিমতো ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। স্থানীয় সূত্রের দাবি, জঙ্গিরা এসেছিল সেনার পোশাক পরে। সব মিলিয়ে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। মূলত আক্রমণ করা হয় অমুসলিমদের। প্রথমে হামলার দায় নিলেও পরে তা অস্বীকার করে লস্করের ‘ছায়া’ দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।