সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় দফায় আরও সাত দেশের উপর আছড়ে পড়ল ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কবোমা। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, আলজেরিয়া, ব্রুনেই, ইরাক, লিবিয়া, মলডোভা, শ্রীলঙ্কা এবং ফিলিপিন্সের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হচ্ছে। আগামী মাসের শুরু থেকেই অতিরিক্ত শুল্কহার চাপানো হবে এই সাত দেশের উপর। প্রশ্ন উঠছে, ভারতের উপরও কি শেষ পর্যন্ত আঘাত হানবে ট্রাম্পের শুল্কবাণ?
সোমবারই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, ব্রিকসের সঙ্গে যেসমস্ত দেশ জড়িয়ে থাকবে তাদের উপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত কর চাপানো হবে। ব্রিকসকে ‘আমেরিকাবিরোধী’ বলেও তোপ দেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রাশিয়া, চিন, ব্রাজিলের পাশাপাশি ভারতও এই ‘ব্রিকস’-এর সদস্য। তবে সম্প্রতি আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সেরেছে চিন। তাই বেজিংয়ের উপর ট্রাম্পের শুল্কবাণের খাঁড়া পড়বে না। কিন্তু এশিয়ার আরও দেশ যেমন জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশের পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে আমেরিকা। সোমবার এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই দেশগুলিকে।
দ্বিতীয় দফায় ট্রাম্পের রোষানলে পড়েছে সাতটি দেশ। আলজেরিয়া, ইরাক, লিবিয়া এবং শ্রীলঙ্কার পণ্যের উপর ৩০ শতাংশ কর বসাচ্ছে আমেরিকা। ব্রুনেই এবং মলডোভার উপর ২৫ শতাংশ, ফিলিপিন্সের উপর ২০ শতাংশ কর চাপানো হয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবারই মায়ানমার, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো আরও ১২টি দেশে কর চাপানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। প্রত্যেক দেশকে চিঠি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় সুরক্ষার জন্যই এমন পদক্ষেপ করছে আমেরিকা।
এহেন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, শুল্কবাণের আবহে ভারতের কী হবে? সাম্প্রতিক অতীতে আমেরিকার সঙ্গেও ভারতের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। দুই দেশের মধ্যে চলতি সপ্তাহে বাণিজ্যচুক্তি হতে পারে বলেও শোনা গিয়েছিল। ট্রাম্প নিজেও বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে চুক্তিও হয়ে গিয়েছে, মানে প্রায় চূড়ান্ত।” কিন্তু শুল্কছাড়ের মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি হয়নি। ফলে সংশয় বাড়ছে, শেষ পর্যন্ত একমত হয়ে দুপক্ষ চুক্তি করতে পারবে তো?