স্টাফ রিপোর্টার: মানুষের মতো জীবজন্তুদের আধার কার্ড। লেখা থাকবে জন্মের তারিখ, বাড়ির ঠিকানা, এমনকী, তার বাবা থুড়ি আবিষ্কারকের নাম। সোমবার, জীবজন্তুদের এহেন আধার কার্ড প্রকাশ করল জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।
সোমবার জেডএসআই-এর ১১০ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে প্রকাশ করা হল একাধিক পুস্তক। তার মধ্যে রয়েছে, শেষ একবছরের নতুন যত প্রাণীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে তার সুলুক সন্ধান। সরকারিভাবে যার নাম ‘অ্যানিম্যাল ডিসকভারি’। নতুন অ্যানিম্যাল ডিসকভারি পুস্তক বলছে, গত একবছরে দেশজুড়ে ৪৫৯ টি নতুন প্রজাতির প্রাণীর খোঁজ মিলেছে। যার মধ্যে ২২৪টি এমন প্রাণী পাওয়া গিয়েছে, যা আগে কখনও পাওয়া যায়নি দেশে।
নতুন প্রজাতির প্রাণের খোঁজে প্রথম পাঁচে রয়েছে বাংলা। জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, ‘অ্যানিম্যাল ডিসকভারি’ বা নতুন জীবজন্তু আবিষ্কারের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে কেরল। সেখানে মোট ১০১ টি নতুন প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান মিলেছে। দ্বিতীয় স্থানে কর্নাটক (৮২), তৃতীয় স্থানে অরুণাচল প্রদেশ (৭২), চতুর্থ স্থানে তামিলনাড়ু (৬৩), পঞ্চম স্থানে পশ্চিমবঙ্গ (৫৬)। জেডএসআই-এর ডিরেক্টর ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নতুন যে সমস্ত প্রাণী আবিষ্কার হয়েছে, তাদের যে পরিচয়পত্র জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দিচ্ছে, তা হুবহু আমাদের আধার কার্ডের মতো। আমাদের আধার কার্ডে জন্মের তারিখ থাকে। প্রাণীদের ক্ষেত্রে ডেট অফ ডিসকভারি বা আবিষ্কারের তারিখটাই তাদের জন্মের তারিখ। আধার কার্ডে লেখা থাকে আমাদের ঠিকানা। প্রাণীর ক্ষেত্রে যেখানে তাকে প্রথম পাওয়া গিয়েছে সেটাই তার ঠিকানা। যে বিজ্ঞানী আবিষ্কার করছেন, তার নাম লেখা থাকবে ওই প্রাণীর বাবার নামের জায়গায়।
সোমবার জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ১১০ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শহরে হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপিন্দর যাদব, বনদপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল সুশীল কুমার অবস্তি। জীববৈচিত্র সংরক্ষণ এবং পরিবেশের পরিবর্তন নিয়ে হ্যাকাথনের আয়োজন করেছিল জেডএসআই। সেই প্রতিযোগিতায় সেরা তিনের মধ্যে রয়েছে হাই অলটিটিউট রিজিওনাল সেন্টার, সোলাং, হিমাচল প্রদেশ, সেন্ট অ্যান্টনি কলেজ, শিলং, মেঘালয় এবং বালাশোর ফকির মোহন বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের হাতে এদিন পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।