সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়োজনে ইউরোপীয় দেশগুলির নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোনও সামরিক পদক্ষেপে নেতৃত্ব দিতে আমেরিকা তৈরি। হোয়াইট হাউসের বৈঠকে সেই বার্তাই দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ফোন মার্কিন প্রেসিডেন্টের। তাহলে কি ইউক্রেনের মাটিতে এবার নামছে মার্কিন সেনা! সেই চর্চাও শুরু হয়েছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কি থামবে? আমেরিকার হোয়াইট হাউসে হাই প্রোফাইল বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্স ট্রাম্প ও ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ওয়াশিংটনে ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার পর ওই বৈঠক শুরু হয় বলে খবর। ইউক্রেনের পাশে আমেরিকা আছে। সেই কথা ট্রাম্প বৈঠকের শুরুতে ইউক্রেন প্রেসিডেন্সকে জানিয়েছেন। এর আগের ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বৈঠক সুখকর ছিল না ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ওই বৈঠক থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাই নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে জোর চর্চাও চলেছিল। ফলে এদিনের দুই দেশের প্রেসিডেন্টের বৈঠক ঘিরে নজর রাজনীতির কারবারিদের।
এদিন বৈঠকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট একটি কালো রঙের সুট পরেছিলেন। সেই সুটের প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দু’জনের মধ্যে করমর্দন হয়। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, “ওই সুটে জ়েলেনস্কিকে চমৎকার দেখতে লাগছে।” ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শেষ করতে এই বৈঠকের মাধ্যমে তিনি কূটনৈতিক উপায় খুঁজে বার করতে প্রস্তুত। এই কথা বৈঠক শুরুর আগে বলেন জেলেনস্কি। এই বৈঠকের ফলাফল যাই হোক না কেন, আমেরিকা ইউক্রেনের পাশে থাকবে। এই বার্তা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাঁধে হাত রাখতেও দেখা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।
এদিন বৈঠক শুরুর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট একটি চিঠি তুলে দেন বলে খবর। সেই চিঠি আমেরিকার ফার্স্ট লেডির উদ্দেশে জেলেনেস্কির স্ত্রী ওলেনা ভোলোদিমিরিভনা লিখেছেন বলে জানা গিয়েছে। যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে কি কোনও বার্তা আছে ওই চিঠিতে? সেই প্রশ্ন রয়েছে।